নৌ চলাচলের তথ্য
(১) |
জাহাজের সর্বোচ্চ অনুমোদিত ড্রাফট (গভীরতা) |
৭.২ মিটার থেকে ৮ মিটার (জোয়ারের উচ্চতার উপর নির্ভর করে)। |
(২) |
জাহাজের সর্বোচ্চ অনুমোদিত দৈর্ঘ্য |
জাহাজের সর্বোচ্চ অনুমোদিত দৈর্ঘ্য ২০০ মিটার। |
(৩) |
জোয়ারের সময় পানির উর্ধ্বসীমা/ পরিসর |
জোয়ারের আনুমানিক পরিসর ২.০ থেকে ৩.৫ মিটারের মধ্যে। |
(৪) |
পাইলটেজ |
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের অধ্যাদেশ অনুযায়ী পাইলটেজ বাধ্যতামূলক। |
(৫) |
রেডিও যোগাযোগ |
পোর্ট রেডিও কন্ট্রোল রুম VHF এ চ্যানেল ১২, ১৬ (২৪ ঘণ্টা)। |
(৬) |
নাইট নেভিগেশন |
পুরো চ্যানেলটি লাইট/বয়া দ্বারা সীমাবদ্ধ করা হয়েছে । প্রবেশ/ত্যাগের জন্য কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। |
(৭) |
অ্যাঙ্কোরেজ |
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের বহিঃ নোঙ্গর এবং অভ্যন্তরীণ নোঙ্গরের ব্যবস্থা রয়েছে। |
(৮) |
অভ্যন্তরীণ নোঙ্গর |
২১˙৫৬˝উত্তর অক্ষাংশ ০৯০˙১৭.৮ ˝পূর্ব দ্রাঘিমাংশ |
(৯) |
বহিঃ নোঙ্গর |
২১.˙২১.৯˝ উত্তর অক্ষাংশ ০৯০˙০৬.০৬˝ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ |
দূরত্ব সারণী
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ |
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ |
মন্তব্য |
||
পায়রা বন্দরের ফেয়ারওয়ে থেকে মুরিং বয়া |
৩৫ নটিক্যাল মাইল |
কুতুবদিয়া থেকে বয়া নং-১ |
২২ নটিক্যাল মাইল |
|
মুরিং বয়া থেকে কালীগঞ্জ |
৭৭ নটিক্যাল মাইল |
বয়া নং-১ থেকে কালীগঞ্জ |
৯৮ নটিক্যাল মাইল |
পায়রা বন্দরের অভ্যন্তরীণ এ্যাংকরেজ থেকে ঢাকার দূরত্ব ১৩৭ নটিক্যাল মাইল |
কালীগঞ্জ থেকে ঢাকা |
৬০ নটিক্যাল মাইল |
কালীগঞ্জ থেকে ঢাকা |
৬০ নটিক্যাল মাইল |
|
মোট |
১৭২ নটিক্যাল মাইল |
|
১৭০ নটিক্যাল মাইল |
|
কোস্টার এবং অভ্যন্তরীণ জাহাজ রুট
পায়রা বন্দরের বহিঃ নোঙ্গরে রাখা ডিপ ড্রাফট থেকে অভ্যন্তরীণ কোস্টার জাহাজে লাইটার করে বাল্ক কার্গো নেওযা যায়। ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছাকাছি নির্ধারিত এলাকায় সর্বাধিক ২০.০ মিটার ড্রাফট পযর্ন্ত জাহাজ নিরাপদে এ্যাংকর করতে পারে। রাবনাবাদ চ্যানেলে প্রবেশ স্পষ্টভাবে IALA Bouy (Region-A) দিয়ে চিহ্নিত। ফেয়ারওয়ে থেকে রাবনাবাদ চ্যানেল পযর্ন্ত ৩৬ নটিক্যাল মাইল দূরত্ব বরাবর ৩০০ মিটার প্রস্থের সাথে ২.৮ নটিক্যাল মাইল দূরত্বের ব্যবধানে বয়াগুলি অবস্থিত। BA চার্ট নং ৩০০২,৭৫০৪ এ বয়া এর অবস্থান স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে । রাবনাবাদ চ্যানেল প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে কাজলা নদীমূখ পযর্ন্ত পায়রা বন্দর IALA বয়া দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পোর্ট লিমিট
পরিশেষে, পায়রা বন্দর দেশের দক্ষিণ মধ্য অঞ্চলের ট্রানজিট বাণিজ্য পরিচালনার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করবে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতি একীভূত হতে পারে, যেখানে পায়রা বন্দর চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের একটি কার্যকর অংশীদার হিসেবে আর্বিভূত হতে পারে। পায়রা বন্দরের পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে এটি বাংলাদেশের একটি কার্যকর বন্দর এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হতে পারে। বলা হয়ে থাকে যে একটি বন্দর একটি জাতির ভাগ্য বদলে দিতে পারে। পায়রা বন্দর বাংলাদেশের জন্য এমন একটি বন্দর হতে পারে।